প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এ দেশকে বঙ্গবন্ধরু স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য এবং নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার আহবান জানিয়েছেন।
৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি-৪) মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রসারের অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে।
পাশাপাশি বিদ্যালয় হতে ঝরেপড়া ও নব্য সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সংযোগ করার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।