দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান প্রশ্নে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন দলটির অন্যতম নীতিনির্ধারক আবদুল মঈন খান।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ মনে করে, খালেদা জিয়ার মুক্তিই রাজনৈতিক সব সংকটের সমাধানের সূত্র।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সংগঠন ‘যুব জাগপা’র কেন্দ্রীয় সম্মেলনে উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সংকটাপন্ন অবস্থার সমাধান বর্তমান আওয়ামী সরকার করতে পারবে না। এ দেশের রাজনৈতিক সমস্যা দূর করতে হলে খালেদা জিয়াকে আগে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে।’
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান ড. আবদুল মঈন খান।
‘খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তার মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হবে। এছাড়া এ দেশে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না,’ বলেন ড. আবদুল মঈন খান।
মঈন খান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু বিএনপির জন্য নয়, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য নয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আওয়ামী লীগের। কিন্তু তারা আজকে নার্ভাস হয়ে গেছে। তাই তারা আবোলতাবোল বলছে।’
‘সরকার যদি এই আতঙ্কদশা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকতে চায়, যদি এ দেশের মানুষের সত্যিকার কল্যাণ চায়; তাহলে তার একমাত্র উপায় হলো একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো,’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের ভয় কেন, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কারণ, কঠিন সত্য হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নিজেও জেনে গেছে, এ দেশের মানুষ ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তারা আজকে ভীত, সন্ত্রস্ত, আতঙ্কিত।’
সম্মেলনের আহ্বায়ক আরিফুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
