গণঐক্যের মাধ্যমে স্বৈরশাহী বিদায় নেবে : বি চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট

নবগঠিত জোটের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা প্রকাশ করে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ একত্রিত হলে অসম্ভবের কিছুই নেই। আমরা আশা করি- খুব শিগগিরই সেই গণঐক্যের মাধ্যমে স্বৈরশাহী বিদায় নেবে।’

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর ‘প্ল্যান-বি পজিটিভ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এসময় যুক্তফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব এবং প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান মাহী বি. চৌধুরীও কথা বলেন।

প্রজন্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক মাহী বি. চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

আলোচনা শেষে উপস্থিত সুধীজনদের কাছ থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করেন মাহী বি. চৌধুরী। এসময় ব্যারিস্টার ওমর ফারুকসহ আরও কয়েকজন তিন নেতার কাছে প্রশ্ন রাখেন।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বি. চৌধুরী নতুন ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন স্বাধীনতাবিরোধী ও ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। যারা গণতন্ত্র চান, সুন্দর বাংলাদেশ এবং স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান আমরা তাদের পক্ষে আছি, সঙ্গে আছি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং এই ঐক্যের মাধ্যমেই জনগণের বিজয় অর্জিত হবে।’

বি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই একদলীয় শাসন দেখেছি, গণতন্ত্রের নামে দলীয় শাসন দেখেছি এবং স্বৈরশাসন দেখেছি ও দেখছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে জনগণের শাসন এখনো দেখিনি। এই স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’

যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। যেখানে সন্ত্রাস শব্দটির স্থলে শান্তি শব্দটি প্রতিস্থাপিত হবে। দুর্নীতি হবে ইতিহাসের অংশ। দারিদ্র প্রতিস্থাপিত হবে প্রাচুর্যে। ভোটাধিকার একটি নিত্য নৈমিত্তিক স্বাভাবিক অধিকারে পরিণত হবে। মানুষ হাসতে হাসতে ভোট দিতে যাবে। এর সবই সম্ভব গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে হাতে হাত ধরে চলবে।’

আ.স.ম আবদুর রব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকার ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে। এর বাইরে যুক্তফ্রন্ট যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে- যারাই এসব প্রস্তাব মেনে নিয়ে এগিয়ে আসবেন তাদেরকেই আমরা স্বাগত জানাবো।’

রব বলেন, ‘দেশের এই অর্বাচীন সরকার মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ন্যায়বিচার নেই। মৌলিক অধিকার নেই। এসব অধিকারসহ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের আজকের আন্দোলন।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশের চরম সংকটকালেও এই তরুণদের দেখে আজ আমরা শতভাগ আশাবাদী। কিছুদিন আগেও আমরা এই তরুণ যুবকদের অথর্ব ও স্বার্থপর ভেবেছিলাম। কারণ দেশ ও দেশের রাজনীতি নিয়ে এদের কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু সেই তরুণ-যুবক ও শিশু-কিশোররা এবার কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে যা দেখিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
###

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে