বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘দেশের বিচার, প্রশাসন, রাজনীতি সব কিছুকে কলুষিত করে আওয়ামী লীগ সংঘাতের রাজনীতির জন্ম দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু এবার যে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তা নয় এর আগেও তারা বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল।’
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ‘সংঘাতের রাজনীতি গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন৷
মঈন খান বলেন, ‘সংঘাতময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। দেশের বিচার, প্রশাসন, রাজনীতি সব কিছুকে কলুষিত করেছে তারা৷ দেশে সংঘাতের রাজনীতির জন্ম দেয় আওয়ামী লীগই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। সংঘাতের রাজনীতি কাকে বলে মানুষ তা হাড়ে হাড়ে টের পায় তখন৷ আর বিএনপি সংঘাতের রাজনীতি থেকে দূরে আছে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি জোর করে আবারও ক্ষমতা দখল করে তাহলে দেশে যে পরিমাণ লুটপাট হবে তা অবিশ্বাস্য। তখন ট্রেন, বিমান, বাস কিছু চলবে না, মানুষকে নৌকায় চড়তে হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আওয়ামী লীগেরই।’
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বাঁচার একমাত্র পথ খোলা আছে। আর সেটি হল- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত দেশে আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয়।’
আয়োজক সংগঠনের চীফ কো অর্ডিনেটর আলহাজ মো. সালমান ওমর রুবেলের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা,সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।