তথ্য প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের রহস্য উদঘাটনের জন্য তথ্য সেল গঠন করবে মন্ত্রণালয়। এই সেলের মাধ্যমে যে কোন ধরনের গুজবের রহস্য ৩ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুকে মিথ্যা কোনো পোস্ট দিলে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই জানানো হবে এটি গুজব। এ জন্য চলতি মাসের শেষ দিকে তথ্য অধিদফতরের অধীনে ‘গুজব শনাক্তকরণ ও নিরসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই তথ্য সেল ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আমরা একটি নম্বর দেয়ারও চেষ্টা করছি। এই নম্বরটি সব সাংবাদিকদের কাছে থাকবে। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়েই আপনাদের কাছে গুজব সংক্রান্ত সংবাদ পৌঁছে দিতে চাই।’
তারানা হালিম বলেন, নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা গুজবের কারখানা হয়ে যায়। এই মাধ্যমের প্রতি আসক্তির কারণে যে স্ট্যাটাসই আসুক তারা সত্য বলে ধরে নেয়।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লন্ডনভিত্তিক একটি সেল আছে এবং তিনশ’রও বেশি পেজ, তারা খুব অ্যাক্টিভ। নির্বাচনের আগে মিথ্যা, অসত্য গুজব এবং প্রচারণার প্রবণতা বেড়ে যাবে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বাকরোধ বা কণ্ঠরোধ করা নয়, আমাদের দায়িত্ব কোনটি অসত্য সেটি তুলে ধরা। সে কাজ করার জন্য কেন্দ্রটি গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পিআইডিতে (তথ্য অধিদফতর), প্রয়োজন হলে নিমকোতে (বাংলাদেশ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট) বেশ কিছু তরুণ লোকবল আছে তাদের ইনক্লুড করে একটি টিম করবো যারা ২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে থাকবে।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সংবাদগুলো গুজব সেগুলো চিহ্নিত করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল, রেডিও এবং সব সংবাদ মাধ্যমে তিন ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে স্বপ্রণোদিত হয়ে পিআইডি থেকে প্রেসনোট দেবে যে এই সংবাদগুলো গুজব, ভিত্তিহীন এবং অসত্য।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এখন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সাফ ফুটবল সম্প্রচার করছে। এর মাধ্যমে এখন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সম্প্রচার ফি বাবদ আর বছরে ৬ কোটি টাকা দিতে হবে না। এ কারণে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ