বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ন্যাশনাল কনভেসশন সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জিওস্ট্যাটেজিক ডিসকার্শনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতবছর বাংলাদেশ ৩৬ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, সেবা খাতসহ মোট রপ্তানি ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একান্তই মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি এজন্য বিশ্ববাসীর কাছে থেকে মাদার অফ হিউম্যানিটি খেতাব অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারের সাথে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববাসীর সহযোগিতায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে এবং রোহিঙ্গারা শিগগির তাদের নিজ বাসভূমে ফিরে যাবেন বলে বাংলাদেশ আশা করছে। এ সময় সম্মেলনে উপস্থিত মায়ানমারের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন মিনিস্টার কাইও টিন বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। সাপটা, আপটা, বিবিআইএন, বিসিআইএম এর মতো জোটে থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তিনটি শর্ত পূরণ করে এডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাবার প্রথম ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করেছে।
আলোচনায় ন্যানেলিষ্ট থেকে বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ফামবিন মিন, মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিষ্টার ইগনেটিয়াস লেইকিং, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাংকাইয়ুং হুয়া, শ্রীলংকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার মালিক দেবপ্রিয় সামারাউইকরামা, কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক, পাপুয়া নিউ গিনির ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার চার্লিস আবেল, তিমুর রেস্টিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাইয়োনিশিও দা কসটা বাবোসোয়ার্স।