ভূমিহীন ১৯০৬৪ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে : ভূমিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

নতুন গুচ্ছগ্রামগুলোতে চলতি অর্থবছরে ১৯ হাজার ৬৪ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবসৃষ্ট এসব গুচ্ছগ্রাম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। তাছাড়া পুরাতন গুচ্ছগ্রামে পুনর্বাসিত ভূমিহীনদের চাষাবাদের জন্য কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আগস্ট ২০১৮ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব আব্দুল জলিল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান, কেএফএম পারভীন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ‍ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতি পুরণের লক্ষ্যে নিয়েই আমরা কাজ করছি। চলতি অর্থবছরে নতুন করে অনেক গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। এসব গুচ্ছগ্রামে ১৯ হাজার ৬৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামে যারা ভূমিহীন রয়েছেন তাদের চাষাবাদের জন্য ৩ বা ৪ শতাংশ জমি বরাদ্দ আছে। যা যথেষ্ট নয়। তাদের চাষাবাদের জন্য কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে।’ মন্ত্রী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভূমি অফিসে প্রজারা সেবা নিতে আসে। সততার সঙ্গে আইন মেনে জনগণকে দ্রুত সেবা দিতে হবে। প্রশাসনের কাজে গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে হবে। ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করে জনগণের সেবায় আরো আন্তরিক হতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ভূমি ব্যবস্থানায় পরিবর্তন এসেছে। মানুষের হয়রানিও কমেছে। এসি ল্যান্ড, কানুনগো, ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ সকলের মাঝে মানসিক পরিবর্তন ঘটেছে। এ অবস্থার আরো উন্নতি করতে হবে। সকলকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’

সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় নির্ধারন করা হয়। সভায় জানানো হয়, ৫৫টি জেলায় সিএস, এসএ ও আরএস জরিপের ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। মে ২০১৮ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিভূত অর্জন হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ৭০৩টি খতিয়ান এন্ট্রি।

চলতি অর্থবছরে আরো ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প-৪, ভূমি ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পসমূহের উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তাছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ, রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বরাদ্দ রয়েছে বলে জানানো হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে