ফুটবলীয় শক্তি-সামর্থ্যে মালদ্বীপের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ভারত। তাই স্বাভাবিক যুক্তিতেই ফেভারিট হিসেবে ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারতের শুভাশিস বাহিনী। তবে মাঠের খেলায় ভিন্ন চিত্র। ফাইনালি লড়াইয়ে একেবারে ভিন্নরূপে আবির্ভূত হলো মালদ্বীপ। গোটা ম্যাচে কৌশলী ফুটবল খেলল দ্বীপদেশটি। শক্তিশালী ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-মালদ্বীপ। শুরুটা দারুণ করে মালদ্বীপ। একের পর এক আক্রমণে ভারতকে চেপে ধরে তারা। সাফল্যও আসে। ১৯ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ইব্রাহিম মাহাদী হোসেন।
পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে পড়ে ভারত। মালদ্বীপ রক্ষণভাগে মুহুর্মুহু আক্রমণ হানে তারা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি শুভাশিসরা। মাঝে সুযোগ পেয়েছেন আব্দুল গনিরাও। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি তারাও। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় মালদ্বীপ।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় ভারত। ঘন ঘন আক্রমণে উঠে শক্তিশালী দলটি। এতে তাদের রক্ষণভাগ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগ নিতে মোটেও ভুল করেনি মালদ্বীপ। ৬৬ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে আলি ফাসির।
এরপর গোলের জন্য হন্য হয়ে পড়ে ভারত। আক্রমণের জোয়ার তোলে তারা। শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায় তারাও। তবে ততক্ষণে সময় আর নেই। ইনজুরি টাইমে প্রতিপক্ষ শিবিরে বল জালে জড়ান সামিত পাসি। এ গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে মালদ্বীপ।