তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পরই জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সেতুটি। এ সেতু চালুর ফলে লালমনিরহাট জেলার চার উপজেলাসহ বৃহত্তর রংপুরের কোটি মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হল।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা এবং বিভাগীয় শহর রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের কয়েকটি উপজেলার দূরত্ব কমিয়ে আনতে কাকিনা-মহিপুর এলাকায় দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন জানায়, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ও রংপুরের দূরত্ব কমিয়ে আনতে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর ও লক্ষ্মীটারির মধ্যে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালে এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে (এলজিইডি) ৮৫০ মিটার দীর্ঘ ও ফুটপাতসহ ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এ সময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের (এলজিইডি) প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, রংপুর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যার অ্যা্ডভোকেট. মতিয়ার রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী এমপি, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।