নতুন রাজনৈতিক ঐক্যকে স্বাগত জানাই : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, নতুন এ রাজনৈতিক ঐক্যকে আমি স্বাগত জানাই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের বাকস্বাধীনতা হরণ করেনি। এসময় তিনি কোনো রাজনৈতিক দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলে, তা করতে দেয়া হবে বলেও জানান।

গতকাল শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে দেবে। বিগত বিএনপি সরকারের কারণে জনগণ কী পেয়েছে, আর কী হারিয়েছিল তার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকতা দেশকে কী দিয়েছে তা মূল্যায়ন করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল সে কথা এখন দেশবাসী জেনে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়, অগ্রগতি হয়। দেশের মানুষ এই উন্নয়ন, অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। জনগণের ওপর আমার আস্থা আছে। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে।

জাতিসংঘে বিএনপি নেতাদের আলোচনার উদ্যোগ, নিজ পরিবার ও দেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের মার্কিন তৎপরতা ও বিএনপির অপপ্রচারের দেশি-বিদেশি মাত্রার সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ যাওয়া নিয়ে তারা মিথ্যাচার করছে। এর আগে ভারতের বিজেপি পার্টির এক নেতার ফোনালাপ নিয়ে তারা মিথ্যাচার করেছে। তারা এভাবে বারবার মিথ্যাচার করে নিজেদের ও দুর্নাম করে, দেশের দুর্নাম করে এবং দেশের সম্মানহানি করে।

মিথ্যাচারের মাধ্যমে কেউ সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু লোক আছে, কিছু হলেই উসকানি দেয়, ইন্ধন দেয়, সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদের ছাড়া হবে না।

শহিদুল আলমের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার উসকানির কারণে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা হয়েছিল। আন্দোলন নিয়ে আল-জাজিরার কাছে মিথ্যা তথ্যও দিয়েছিলেন তিনি।

নিজের দৃঢ়তা কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো গ্রুপ হয়তো হঠাৎ এসে আমাকে মেরে ফেলতে পারে কিন্তু তারা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না।

বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা চক্রান্ত এবং ক্যু করে। এতে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি থেমে যায়।ওরা দেশের উন্নয়ন চায় না। তাই উন্নয়ন করে নাই। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করেছে।

ওদের ‘চোখ থাকতে অন্ধ, মনের দরজাও বন্ধ’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী একশ্রেণির বিশিষ্টজনদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, এরা দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাস, খুনিদের জন্য মায়াকান্না করে আসছে। তারা কোথাও ভালো কিছু দেখতে পায় না। তাদের চোখে কোনো কিছুই ভালো হচ্ছে না। তারা চায় দেশে যাতে নির্বাচন না হয়। শুধু উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থাকে যে, তারা এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ও সদস্যসচিব ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কার্যনির্বাহী কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা এই কমিটির সদস্য।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে