মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ২০১৯ সালের রাজস্ব বছরে ৩০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার এই ঘোষণাকে দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা লজ্জাজনক ও জঘন্য বলে মন্তব্য করেছেন।
সোমবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে দোহাভিত্তিক আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে। চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র ৪৫ হাজার শরণার্থী গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করেছিল। যেটি ২০১৬ সালের সংখ্যার অর্ধেক।
পম্পেও বলেন, আমরা নতুন করে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়ার সীমা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছি। এ ছাড়া দুই লাখ ৮০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এতে দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কট্টরপন্থীদের জয়জয়কার ঘটেছে বলে বিশ্লেষকরা বলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন যুক্তরাষ্ট্র তখন এক লাখ ১০ হাজার শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
ট্রাম্প সেটিকে কমিয়ে ৪৫ হাজারে নিয়ে আসেন, পরে তা আরও কমে ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ৪০ বছর আগে মার্কিন শরণার্থী আইন পাস হওয়ার পর এটিই সংখ্যায় সবচেয়ে কম বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ হাজার এবং কানাডায় ২৭ হাজার শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এদিকে এ সময় অস্ট্রেলিয়া ১৫ হাজার ও যুক্তরাজ্য ছয় হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ফার্স্টের জেনিফার কুইগলেই বলেন, এটা আমাদের মানবতাকে জলাঞ্জলি দেয়ার লজ্জাজনক ঘোষণা। কারণ এমন এক সময় এ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে, যখন ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম শরণার্থী সংকট চলছে।