আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, উগ্রবাদ, ভুয়া কন্টেন্ট তৈরিতে বা সন্ত্রাসে- ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কওমী মাদরাসা কোনো ভাবেই জড়িত নয়। এ সবের পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত।
মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভুয়া কন্টেন্ট: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সরকারের আমলে কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা তুলে ধরে হানিফ বলেন, ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। এ সবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়াত করেছে, লন্ডন থেকেও এর জন্য ফোন এসেছে।
তিনি বলেন, মাদরাসা ছাত্ররা কোনো উগ্রবাদি দলে বা কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। জামায়াতসহ বিভিন্ন দল যারা উগ্রবাদি কর্মকাণ্ডের পর রাজনৈতিক সুবিধা পাবে, তারাই এতে জড়িত।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যে কেউ তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে মত প্রকাশ করতেই পারে। তবে নাম পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছাড়াতে পারে না। যদি কেউ এটা করে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হানিফ বলেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরো সচেতন হওয়া উচিত। এর নেগেটিভ প্রভাবও জানা দরকার।
ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। আলোচনায় অংশ নেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার বিনয় প্রিপনটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার সারোয়ার, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, অজয় দাস গুপ্ত, কওমী মাদরাসা ছাত্রদের পেইজের এডমিন সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।