জাতীয় পার্টি কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না : এরশাদ

ডেস্ক রিপোর্ট

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মঙ্গলবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এক্সপো জোনে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, জাতীয় পার্টি আর কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলকে আরো সংগঠিত করতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেভিত্তিক কমিটি করতে হবে। শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। কেউ ভোট ডাকাতি করতে চাইলে প্রতিহত করতে হবে।

universel cardiac hospital

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামল না এলে বাংলাদেশ অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকত। ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের অবস্থাতেই থেকে যেত বাংলাদেশ। আমরা উন্নয়ন করেছি, লুটপাট করিনি। আমাদের দেশ পরিচালনার সময় খুন, গুম, সন্ত্রাস ছিল না। আমরা মানুষ খুন করিনি। আমাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। তাই দেশের মানুষ আমাদের ভালোবাসে। মানুষ আবারও জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ৫ হাজার ৮৮টি এবং আওয়ামী লীগ ৬ হাজার মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু আমার নামের মামলাগুলো এখনো আছে। কারণ, জাতীয় পার্টিকে সবাই ভয় পায়। সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী অবস্থান আছে। আমি নিশ্চিত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি মানুষের ভালোবাসায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে।

জাতীয় নির্বাচনে আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর প্রচারণা শুরুর আগে কর্মসূচিভিত্তিক আলোচনা ও পর্যালোচনাবিষয়ক কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন পার্টি চেয়ারম্যানের তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনির, পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা এবং আজম খান।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পার্টি শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন, সৈয়দ আবদুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সুনীল শুভ রায়, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আকতার, সোলায়মান আলম শেঠ, অ্যাডভোকেট এম রশিদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, শামিম হায়দার পাটোয়ারী।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে