প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা : ইভিএমের যেন অপব্যবহার না হয়

ডেস্ক রিপোর্ট

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) যেন অপব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইভিএমের প্রশিক্ষণ ও এর ব্যবহার শেখাতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ইভিএমের প্রশিক্ষণ ও এর ব্যবহার শেখাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনোভাবে এটার যেন অপব্যবহার না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে বলেছেন। ইভিএমের ব্যবহার যেন গ্রাজুয়ালি করা হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না, এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আরপিও তো সংশোধন করতে হবে।

ইভিএম প্রকল্পটি তাড়াহুড়ো করে পাস করা হলো কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, না, এটা তাড়াহুড়ো করে পাস হয়নি। পরিকল্পনা কমিশনে এ প্রকল্প অনেকদিন যাবত ছিল।

অপর প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ইভিএম প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছি আমরা। এটা তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদকাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত হবে। পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার দেবে। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।

এর আগে একনেক সভায় ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হবে। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব জনবলের জন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ আয়োজন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে