মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে শেখ হাসিনার নামে হচ্ছে তাঁতপল্লী

বিশেষ প্রতিনিধি

Exif_JPEG_420

মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার শিবচর ও জাজিরা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তাঁত পল্লী স্থাপন করা হচ্ছে। এই তাঁত পল্লীর আয়তন হবে ১২০ একর। ফলে উন্নত পরিবেশে তাঁতী এবং তাদের পরিবারের জন্য বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে তাঁতীদের জীবনযাত্রার মান ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। এটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি চলতি বছর হতে জুন, ২০২১ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়িত হবে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে তাঁতশিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ওই সময় তিনি বলেন, মিরপুর ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা। তাই বেনারসী পল্লী ও কর্মরত শ্রমিকদের উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকার বাইরে খোলামেলা জায়গায় বেনারসী/তাঁতপল্লী স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়া ২০১৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আরেকটি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছিলেন, ঢাকার মিরপুরের বেনারসী পল্লী ঢাকার বাইরে খোলামেলা পরিবেশে স্থানান্তর করতে হবে। সেখানে তাদের জন্য ঘরবাড়ি, শিশুদের জন্য স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তাঁত শিল্পকে টেকসই করা, অধিক পরিমাণে তাঁতবস্ত্র উৎপাদন, দেশের তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং উন্মুক্ত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁতবস্ত্র উৎপাদনের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের বেনারসী এবং অন্য তাঁতীদের ঢাকার বাইরে স্থানান্তরসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নিমিত্ত “শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সেই আলোকে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটি ওপর পরিকল্পনা কমিশনে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রকল্পটি ২টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথম পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ডিজাইন/লে-আউট প্ল্যান তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ডিপিপি প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে।

এর আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ-১২০ একর; ভূমি উন্নয়ন ও সাইট ডেভেলপমেন্ট-১২৬১৭২৮ ঘনমিটার; সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ-৪৩৫০ রানিং মিটার; প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের সকল অবকাঠামো নির্মাণের লে-আউট ও ডিজাইন প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করা; অফিস সরঞ্জামাদি ক্রয়-৪টি; আসবাবপত্র ক্রয়-৩২টি ও জিপ ক্রয় একটি।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে