লাইসেন্স ছাড়া কৃষিপণ্যের ব্যবসায় কারাদণ্ড ও জরিমানা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

সংসদে লাইসেন্স ছাড়া কৃষিপণ্যের বাজার কারবারি, আমদানি-রপ্তানি, গুদাম ও হিমাগার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে কৃষি বিপণন বিল পাস হয়েছে।

এছাড়া, কৃষিপণ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করলে, ওজনে কম দিলে, কৃষিপণ্যে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে, অধিক মুনাফা করলে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গুদাম বা হিমাগারে মজুতকৃত কৃষিপণ্য সরবরাহ না করলেও একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে কৃষিপণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্থাকারী, পাইকারি বিক্রেতা, আরতদার, মজুতদার, কমিশন এজেন্ট, বা ব্রোকার, ওজনদার, নমুনা সংগ্রহকারী, ফরিয়া বা বেপারীকে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বাজার কারবারি হিসেবে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থাপিত কৃষি বাজারের জন্য মার্কেট চার্জ নির্ধারণ, গুদাম ও হিমাগারে কৃষিপণ্যের মজুতের ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

সরকার কর্তৃক কৃষিপণ্যের এলাকাভিত্তিক মূল্য ও লাভের হার নির্ধারণ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের একটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থাকবে। এই অধিদপ্তর কৃষিপণ্যে মূল্যনীতি প্রণয়ন, কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ, কৃষিপণ্যের মান নির্ধারণ, বাজার কারবারি, কৃষি ব্যবসায়ীদের সংগঠন-সমিতিকে তালিকাভূক্তিকরণ ও কৃষিপণ্যে মূল্য সহায়তা প্রদান করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, কৃষি ব্যবসার উন্নয়ন, কৃষি বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বিলটি প্রণীত হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষিজ অর্থনীতি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে দি ওয়্যার হাউজ অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ এবং দি এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৬৪ আইন দুটি রহিত করে বাংলা ভাষায় কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে বিলে দি এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট রেগুলেশন (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ১৯৮৫-এর উল্লেখ থাকলেও আইনে বিলটি বাতিল বা নতুন আইনের সাথে একিভূত হওয়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে