এশিয়ার কাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ ভারত জিতেছে ২৬ রানে। তবে জয়টা যেভাবে এসেছে, সেটা ভারত তো দূরে থাক, ক্রিকেট বিশ্বের কেউই কল্পনা করেনি। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে পাল্লা দিয়ে লড়াই করলো এশিয়া কাপের নতুন সদস্যরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের ৭ উইকেটে করা ২৮৫ রানের জবাবে হংকং তাদের ইনিংস শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানে।
স্কোরবোর্ডের এই হিসাব দেখতে হয়তো বুঝতে পারা যাবে না হংকং কতটা আধিপত্যবিস্তার করে ছিল ভারতের ওপর। স্কোরবোর্ডে যখন কোনও উইকেট না হারিয়ে হংকং ১৭৪ তুলে ফেলে, তখন শঙ্কার মেঘই জন্মে ভারতের আকাশে। দুই ওপেনার নিজাকাত খান ও অংশুমান রথ বিশ্বমানের ব্যাটিংয়ের সামনে চরম অসহায় লাগে ভারতীয় বোলারদের। তবে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে ঠিকই ভারত শঙ্কার মেঘ সরিয়ে ফিরে আসে ম্যাচে এবং জয় দিয়ে শুরু করে এশিয়া কাপে মিশন।
উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৪ রান গড়ে সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন নাজাকাত ও অংশুমান। তবে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে অংশুমান ৭৩ রানে থামলে ভাঙে তাদের জুটি। কুলদীপ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার ৯৭ বলের ইনিংসটি সাজান ৪ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
তবে কষ্টটা বেশি নাজাকাতের। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান এই ওপেনার। ৯২ রানে তাকে থামান অভিষিক্ত খলিল আহমেদ। ফেরার আগে ১১৫ বলের ইনিংসে খেলে যান ১২ চার ও ১ ছক্কার মার।
তাদের আউটের পর জয়ের সম্ভাবনাও একরকম শেষ হয়ে যায় হংকংয়ের। অভিজ্ঞ ভারত ম্যাচে ফিরে আরও চড়াও হয় তাদের ওপর।
এর আগে হংকংয়ের বোলারদের সামনে শিখর ধাওয়ান ও আম্বাতি রাইডু ছাড়া তেমন কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ধাওয়ান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি পূরণ করে এই ওপেনার খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস। আর হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা রাইডু করেন ৬০ রান।
বিরাট কোহলি না থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি। আউট হয়েছেন তিনি ২৩ রানে। দিনেশ কার্তিক ভালো শুরু করেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। মহেন্দ্র সিং ধোনি তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি! শেষ দিকে কেদার যাদবের হার না মানা ২৮ রানে ভর দিয়ে ভারত ২৮৫ রানে শেষ করে ইনিংস। ক্রিকইনফো