বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মন্তব্য করেছেন, বিএনপি নির্বাচনে গেলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না ।
বুধবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। উক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সরকার দলটির নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার জানে যে, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে তাদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ জনগণ ধুলোয় উড়িয়ে দেবে। সেই ভয়ে সরকার দেশনেত্রীকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে, দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘৭৩ বছর বয়সী প্রাক্তন একজন প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারের ভেতর আদালত বসিয়ে তার বিচার করতে চাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী। তারা সুপরিকল্পিতভাবে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই মাটিতেই এই দুঃশাসক সরকারের একদিন বিচার হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে। তবে সেই নির্বাচনে যাবে না, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এই ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ কমিশন দ্বারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার-নির্বাচনের আগে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। সমস্ত নেতাকর্মীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনা মোতায়ন করুন।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে মতবিনিয় সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।