আগামী ১৩ অক্টোবর পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে পদ্মাসেতুর ৫৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ফারুক খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একইদিন ঢাকা-ফরিদুপর-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেন এক্সপ্রেসওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার ৬ লেন রাস্তার উদ্বোধনের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে রেললাইনেরও ভিত্তিপ্রস্তুর উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া আনুষঙ্গিক কিছু ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস নির্মাণকাজ এই সময়ে সম্পন্ন হবে না। তবে অন্যান্য কাজের উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে, মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ। সেতুর উভয়পাশে সব সড়কপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পাঁচটি স্প্যান স্থাপনের পর ৭৫০ মিটার সেতু দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অন্য কাজগুলোও দৃঢ়ভাবে এগুচ্ছে। সরকার আশাবাদী, এই বৃহৎ অবকাঠামো দেশের জিডিপি অন্তত ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।
২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান স্থাপন করা হয়। তৃতীয় স্প্যানটি স্থাপন করা হয় ১১ মার্চ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্প্যান স্থাপন করা হয় যথাক্রমে ১৩ মে ও ২৯ জুন।
জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান থাকবে, এর প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ১৫০ মিটার। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, ৪২টি পিলারে মোট ৪১টি স্প্যান স্থাপন করা হবে। দেশের বৃহত্তম এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি এই প্রকল্পে কাজ করছেন চীনা, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ভারতীয় ও জাপানি নাগরিকরা।