ঐক্য হয়েছে, তা কেউ রুখতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ঘরে বসে ছিল। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। শনিবার বিকেলে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকার চোর-লুটতরাজ তাই আমরা আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। সরকার ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার ও চুরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে অথচ খালেদা জিয়াকে আড়াই কোটি টাকার মামলায় জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে।’
খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে মান্না বলেন, ‘নির্বাচনের বাকি মাত্র সাড়ে তিন মাস। অথচ গত সাড়ে তিন মাসে সারাদেশে সাড়ে তিন হাজার নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ২২ হাজার মামলা করেছে সরকার। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে খালেদা জিয়াসহ সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি করেন তিনি।’
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ৪ জন নেতা যোগ দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ড.আব্দুল মঈন খান রয়েছেন। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে মহানগর নাট্যমঞ্চের ফটক দিয়ে তারা প্রবেশ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এছাড়াও বিকল্প ধারার সভাপতি বি চৌধুরী, ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন ও ২০ দলের শরিক বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ উপস্থিত রয়েছেন। সোয়া তিনটার দিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন গণফোরাম সভাপতি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি সমাবেশে সূচনা বক্তব্য দেন।