এশিয়া কাপের মঞ্চে টিকে থাকতে হলে আজ রবিবার বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে। কারণ আজ হারলেই বিদায়। আর জিতলে পরের ম্যাচ ‘সেমিফাইনাল’। সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচ জিতলে মিলবে ফাইনালের টিকিট।
১৪তম এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যাত্রা কতটুকু পর্যন্ত যায় তা নির্ধারণ হবে আজ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হারও প্রত্যাশা করতে হবে বাংলাদেশ শিবিরের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে যায় ১৩৬ রানে। ‘সুপারফোরে’ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছেও পাত্তা পায়নি। হেরেছে ৭ উইকেটে। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ে যেখানে আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে সেখানে টানা দুই হারে আত্মবিশ্বাস ও মানসিকতায় চিড় ধরেছে। ‘বিধ্বস্ত’ বাংলাদেশ শিবির আজ দুর্দান্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে কতটুকু লড়াই করতে পারে সেটাই দেখার।
দুই হারে অস্থিরতা বিরাজ করছে পুরো শিবিরে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দুই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। আর যাদের দিয়ে ব্যর্থতা শুরু তাদের বিকল্প হিসেবে ইমরুল ও সৌম্যকে এরই মধ্যে দুবাই উড়িয়ে নিয়েছে টিম ম্যানেজমান্ট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালিন সময়ে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। আজ তাদেরকে মাঠে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাদ পড়বেন লিটন ও নাজমুল।
ওয়ানডে ফরমেটের এশিয়া কাপে টানা দুইবার আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে একটি পরিসংখ্যান বাংলাদেশ শিবিরে খানিকটা আত্মবিশ্বাস দিতে পারে, রশিদ খান কিংবা মোহাম্মদ নবীদের বিপক্ষে কখনোই টানা ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ। দীর্ঘ সময় বিরতির পর হারের লজ্জা পেয়েছে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেয় আফগানিস্তান। সুপার ফোরে পাকিস্তান কেউ নাড়িয়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। তবুও বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে ফেবারিট আফগানিস্তানই। ব্যাট-বলে দারুণ ধারাবাহিক থাকায় তাদেরকে ফেবারিট বলতেও দ্বিধা নেই।
এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে মাশরাফির দলকে আজ ‘দুর্গম গিরি, কান্তার মরু’-র পথ পাড়ি দিতে হবে। কাজটা কঠিন তবে অসম্ভব নয়।