বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার অলিখিত বাকশাল দীর্ঘায়িত করতে জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, যুবক-কিশোর, পেশাজীবী সকলেই এক ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কেননা জাতীয় ঐক্যের সামনে মোকাবেলা করার শক্তি তাদের নেই। এবং তাদের ষড়যন্ত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে জাতীয় ঐক্য নিয়ে তাদের নেতারা আবোলতাবোল বকছেন। তবে কোনো ষড়যন্ত্রে আর লাভ হবে না। এবার সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।
‘আওয়ামী লীগকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কিভাবে হয়?’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে জবাবে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা হাস্যকর, কারণ আমরা ঐক্য করেছি বর্তমান এই সরকারের পতনের জন্য। আমরা সরকারে বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার আদায়ে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এবং তা প্রকাশ্যেই হয়েছে।
যদি আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্যে আসতে চায়, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে ৫টি দাবি মেনেই আসতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সে দাবিগুলো হলো- সরকারকে তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন করতে হবে, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় মাঠে রাখতে হবে, ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার গলা চেপে ধরতে সরকার কালো আইন করছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে এই কালো আইন বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ সকল নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মরহুম নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্মৃতি সংসদ-এর সভাপতি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।