যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত বিচারক ব্রেট কাভানফের বিরুদ্ধে আরো এক নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
ডেবোরাহ রামিরেজ নামের কাভানফের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহপাঠী দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকার কাছে রবিবার নিজের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
রামিরেজ নামের ওই নারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন একটি অনুষ্ঠানে কাভানফ তার যৌনাঙ্গ রামিরেজের সামনে বের করেন এবং সেটি দিয়ে রামিরেজের মুখে আঘাত করেন। রামিরেজের অনুমতি ছাড়াই কাভানফ এ কাজ করেন।
অবশ্য নতুন করে অভিযোগ উঠার পর সেটিকে যথারীতি অস্বীকার করেছেন কাভানফ। এই অভিযোগকে তিনি ‘নোংরা’বিষয় বলে অভিহিত করেন।
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আলটো ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টাইন ব্লাসি ফোর্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, ব্রেট কাভানফ তাকে জোর করে বিছানায় নিয়ে যান এবং তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নগ্ন করার চেষ্টা করেন। তবে অনেক চেষ্টার পর তিনি কাভানফের কাছ থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হন। তারা দুইজনই টিনএজে থাকতে ১৯৮২ সালে এ ঘটনা ঘটে। তখন কাভানফের বয়স ছিল ১৭ ও ব্লাসি ফোর্ডের বয়স ছিল ১৫ বছর।
ব্লাসি ফোর্ড বলেন, আমার তখন মনে হয়েছিল, কাভানফ আমাকে হত্যা করবে।
এ ঘটনার স্বপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের সামনে কথা বলতে রাজি হয়েছেন ব্লাসি ফোর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে নতুন বিচারক নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সুপ্রিম কোর্ট প্রায়ই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়ে থাকে। তাই সাধারণের জনগণের জীবন সংশ্লিষ্ট প্রশ্নে এই কোর্টের বিচারকদের ব্যাপক ভূমিকা থাকে।
সূত্র : বিবিসি