যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যৌথভাবে দুই জোটের নেতৃত্ব দেবেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন মিলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষনেতাদের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র মতে, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র ব্যানারেই আপাতত পথ চলবে যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে বিএনপিসহ আরও কিছু বাম-প্রগতিশীল ঘরানার দল সরাসরি যুক্ত হবে এই ঐক্যে। যার সূচনা হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ থেকে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা এদিন থেকে শুরু হলেও এর চূড়ান্ত রূপ নেবে বিএনপির সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনার পর।
এ নিয়ে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া- এই তিন পক্ষের মধ্যে বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে।
সভায় ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ এবং ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’- এই নাম দুটি প্রায় একই রকম হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতে সরকারবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটি ‘নয়া জোট’ গঠন এবং এই জোটের নতুন নামকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। তবে বৈঠকে উপস্থিত দুপক্ষের বেশির ভাগ নেতা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নামটিই বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন, বিএনপির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা বাকি আছে। তাদের সঙ্গে আমরা বসব। আমরা আমাদের কথা বলব। তাদের কথাও শুনব। তিন পক্ষ একমত হলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে আগামীকাল বুধবার ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের অপরিহার্যতা’শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে রাজশাহী, সিলেট এবং ময়মনসিংহে পৃথক তিনটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া আছে। এর সঙ্গে চাঁদপুরকেও যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পাশাপাশি যুক্তফ্রন্টের নেতারাও এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। বিএনপির নেতারা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কিনা- তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।