২০১২ সালের ২২ মার্চের রাতটা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই দুঃস্বপ্নের নাম। দুঃস্মৃতি হয়ে এখনও তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহদের কষ্ট দেয়। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এতোটা কষ্ট এর আগে কখনো কি পেয়েছিল?
মাত্র ২ রান, তাহলেই ইতিহাসের পাতায় নতুন করে লিখা হতো বিজয় কাব্য। পুরো বিশ্ব স্বাগত জানাত এশিয়ার ক্রিকেটের নতুন রাজা বাংলাদেশকে। কিন্তু সামান্য কিছু ভুলে পাকিস্তানের কাছে চলে যায় ১১তম এশিয়া কাপের শিরোপা।
ওই হারের ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ! ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফাইনালের পর পাঁচ মুখোমুখিতে (একটি টি-টোয়েন্টিসহ) চারটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় মাশরাফির দল।
২০১৪ এশিয়া কাপেও জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আফ্রিদির শেষ ঝড়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে অন্তিম মুহূর্তে। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপের ওই ফাইনালের পর পাকিস্তানকে একাধিকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এশিয়া কাপের মঞ্চে পাকিস্তান বধ হয়নি।
তাই হারের ক্ষত যে এখনও মুছেনি! প্রতিশোধ নেওয়াও হয়নি। এবার আবু ধাবিতে সেই ক্ষত শুকানোর পালা। ২০০৯ সালের পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের ‘হোম ভেন্যু’। সেই হিসেবে আজ পাকিস্তানকে হারালে ভিন্ন রসদ জোগাতে পারবে বাংলাদেশ দল। পাশাপাশি বাংলাদেশ চলে যাবে ফাইনালে।
কাজটা আগের তিন ওয়ানডের মতো ততটা সহজ না। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের প্রায় নতুন দলকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি অতিথীরা। অথচ দুই বছরের ব্যবধানে তারা ইংল্যান্ডে আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। তাই আজ তাদের হারানো বেশ কঠিনই বটে।
তবে অসম্ভব নয়। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বেশ চাঙা বাংলাদেশ শিবির। অন্যদিকে পাকিস্তান শেষ ম্যাচে হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। স্রেফ উড়ে গেছে আমির, সরফরাজ, শোয়েব মালিকরা। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে অনেকটাই চাপমুক্ত বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। ১২ ম্যাচের ১২টিই জিতেছে পাকিস্তান। আজ জয়ের খাতা খোলার দিন। আরেকটি ফাইনাল হাতছানি দিচ্ছে মাশরাফিদের। পাক বাধা পেরোতে পারলেই তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।
আজ দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।