প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি-না, সে বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের বৈঠক করব, সেনাবাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, কমিশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
সেনাবাহিনী ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, কমিশনের বৈঠকের পরই তা নির্ধারণ হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুরে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।
ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন স্থানে ইভিএমের প্রদর্শনী হবে এবং সেখানে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ও সব দল চাইলে আগামী নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
সিইসি বলেন, সঠিক সময়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৩১ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে।
২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নুরুল হুদা বলেন, একজন সিনিয়র মন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়। এটাকে ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কমিশনের প্রতি কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা আছে, এটা তারা বলতেই পারে। তবে আমাদের সক্ষমতা নিয়ে আমরা সন্দিহান নই। আমরা মনে করি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা চাই, সব দলই অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু কেউ না এলে আলাদা করে কোনো দলের সঙ্গে আর বসার কোনো সুযোগ ও সময় নেই।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দীন, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও ১৩টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।