এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সবশেষ তিন দেখায় তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মাশরাফির দল। তবে ওই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের পার্থক্য অনেক।
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলে পাকিস্তান। সেই দলটির বিপক্ষেই আজ খেলবে বাংলাদেশ। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেমিফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচটিকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আজ যারা জিতবে তারা ভারতের সঙ্গে খেলবে ফাইনাল।
আবুধাবিতে এবার ব্যাট-বল হাতে ঝড় তোলার অপেক্ষায় দুই দেশের ক্রিকেটাররা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। মাঠে নামার ঠিক আগ মুহুর্তে দুই দলের পরিসংখ্যানে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক:
৩৫: দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ৩৫টি। বাংলাদেশের ৪ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৩১ ম্যাচে।
১২: এশিয়া কাপে দুই দল খেলেছে ১২টি ম্যাচ। মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচের ১২টিই জিতেছে পাকিস্তান।
৩৮৫: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড পাকিস্তানের দখলে। ডাবুম্বলায় ২০১০ সালে ৭ উইকেটে ৩৮৫ রান করেছিল পাকিস্তান। ওদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৯। ২০১৫ সালে ঢাকায় এ রান করেছিল বাংলাদেশ।
৮৭: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড বাংলাদেশের দখলে। ২০০০ সালে ঢাকায় ৮৭ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সর্বনিম্ন রান ১৬১।
৮৯৩: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ১৮ ম্যাচে করেছেন ৮৯৩ রান।
১৩৬: সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি সালমান বাটের দখলে। ২০০৮ এশিয়া কাপে ১৩৬ রান করেছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার।
২৩৩: রানের হিসেবে সবথেকে বড় জয়টা পাকিস্তানের দখলে। ২৩৩ রানে জয়ের রেকর্ড আছে তাদের। উইকেটের হিসেবেও সবথেকে বড় জয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে একবার ১০ উইকেট হাতে রেখে জিতেছিল পাকিস্তান।
৩: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ৩টি।
১৭: সবথেকে বেশি ডিসমিসাল করেছেন কামরান আকমল। ১৭টি ডিসমিসাল রয়েছে আকমলের নামের পাশে।
২১: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শহীদ আফ্রিদি। ২১টি ম্যাচ খেলেছেন আফ্রিদি। বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি সর্বোচ্চ ১৭ করে ম্যাচ খেলেছেন।
৩২: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি উইকেট পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। ডানহাতি এ স্পিনার পেয়েছেন ৩২ উইকেট।
৬: ৯.৫ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফিগার আব্দুর রাজ্জাকের দখলে।
৭: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ক্যাচ নাসির হোসেনের। ৭টি ক্যাচ নিয়েছেন নাসির।
৮: তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
৯৫: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি রান খরচ করেছেন শফিউল ইসলাম। ২০১০ সালে ১০ ওভারে ৯৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন শফিউল।