লিটন-মিরাজের নতুন রেকর্ডের দিনে ভারতের লক্ষ্য ২২৩

সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২২২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন লিটন। এছাড়া ৩৩ রান করেন সৌম্য সরকার। ৩২ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

ওপেনিং জুটিতে ১২০ রান করার পর একটা সময়ে মনে হয়েছিল বাংলাদেশ আজ তিনশ’ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং এবং বিতর্কিত আম্পায়রিংয়ের কারণে শেষ ৪৮.৩ ওভারে পর্যন্ত ২২২ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল।

universel cardiac hospital

তামিম নেই, টেরই পাওয়া গেল না। ফাইনালে লিটন কুমার দাস হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। তামিমের মতো ভয়ডরহীন ব্যাটিং। ১১৭ বলে ১২১ করে আউট হয়েছেন তিনি।এটি তার ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি।

প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামা মিরাজরে সঙ্গে জুটিটাও দারুণ জমে ওঠে তার। ১২০ রানের ঝকঝকে পার্টনারশিপ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির যেটা নতুন রেকর্ড।

২০১৫ সালে ঢাকাতে ভারতের বিপক্ষে তামিম-সৌম্য করেছিলেন ১০২। তিন বছর পর সেই ভারতের বিপক্ষে ১২০ রানের জুটি গড়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন লিটন ও মিরাজ। ৫৯ বলে ৩২ রান করে কেদার যাদবের বলে ফিরেন মিরাজ। তবে সৌম্যর জায়গায় মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে যে বজিটা রেখেছিলেন, তাতে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।

ফাইনালের একাদশে চমক থাকতে পারে, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল মাশরাফির কথায়। কিন্তু মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে সেই সারপ্রাইজটা দিয়ে বসবেন, কেউ ভাবেননি। এ যে এক দু:সাহসিক সিদ্ধান্ত।

১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। কিন্তু কখনওই পাঁচের উপরে ব্যাট করতে নামেননি। ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সেই মিরাজকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয় ওপেনিংয়ে!

সৌম্য সরকারের বাজে ফর্ম ও আস্থার চরম অভাবের কারণেই আসলে এমন উল্টা পাল্টা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। টানা রান খরায় সৌম্য। আগের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ০তে আউট হন সৌম্য। তাকে আবার ওপেনিংয়ে নামিয়ে ফের দলের বিপদ না বাড়িয়ে অন্য একটা ঝুকি নেন মাশরাফি।

আর সেই বাজিতে পুরোপুরি সফল বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ ভারত, ম্যাচটা আবার ফাইনাল। প্রথমবার ওপেনিংয়ে। মিরাজের সামনে বিরাট ছিল চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ ছিল মাশরাফির জন্যও। তবে সেই দু:সাহসিক সিদ্ধান্তে জয়ী মাশরাফি এবং দায়িত্ব মোটামুটি পালন করেছেন মিরাজ।তিনি ৫৯ বলে ৩২ রান করে আউট হয়েছেন।

বাংলাদেশ ইনিংস: ২২২ (৪৮.৩ ওভার)

(লিটন দাস ১২১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২, ইমরুল কায়েস ২, মুশফিকুর রহিম ৫, মোহাম্মদ মিথুন ২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪, সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মুর্তজা ৭, নাজমুল ইসলাম অপু ৭, মোস্তাফিজুর রহমান ২, রুবেল হোসেন ০*; ভুবনেশ্বর কুমার ০/৩৩, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ১/৩৯, যুজবেন্দ্র চাহাল ১/৩১, কুলদীপ যাদব ৩/৪৫, রবীন্দ্র জাদেজা ০/৩১, কেদার যাদব ২/৪১)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে