মাশরাফিদের নিয়ে ভারতের সতর্কতা ও কিছু পরিসংখ্যান

সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এর আগে তাদের নিয়ে অতি সতর্ক টিম ইন্ডিয়া। মাশরাফি বাহিনীকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না রোহিত ব্রিগেড।

ভারতের সহ-অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বলেন, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা খুবই সতর্ক। বেঙ্গল টাইগারদের হালকাভাবে নেয়াটা বোকামি হবে। তারা খুবই ভালো দল। গেল কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নতি করেছে ম্যাশের নেতৃত্বাধীন দল।

তিনি বলেন, পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। দলটি দারুণ ক্রিকেট খেলছে। তিন বিভাগেই (ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং) ভালো করছে। কোনো দল যখন অলরাউন্ডিং পারফরম করবে, তখন তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতেই হবে।

আজকের ফাইনালের আগে দুই দলের পরিসংখ্যান এবং অন্যান্য রেকর্ডে একবার চোখ বুলানো যাক-

১. এশিয়া কাপ এর আগে পাঁচবার ঘরে তুলেছে ভারত। বাংলাদেশ জিততে পারেনি একবারও।

২. ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাংলাদেশে আয়োজন করেছিল এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ফাইনালে। সেবারই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ-ভারত। এরপর চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় নিহাদাস ট্রফির ফাইনাল খেলেছিল দুই পরাশক্তি। আজ তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে দুই দল।

৩. দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ৩৪টি। বাংলাদেশের ৫ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ২৮ ম্যাচে।

৪. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের দখলে। ঢাকায় ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ উইকেটে ৩৭০ রান করেছিল ভারত। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩০৭। এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান ২৯৩।

৫. এশিয়া কাপে দুই দল খেলেছে ১১টি ম্যাচ। ভারতের ১০ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১টি।

৬. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন বিরাট কোহলি। ভারতের বর্তমান অধিনায়ক ১১ ম্যাচে করেছেন ৬৫৪ রান।

৭. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড বাংলাদেশের দখলে। ২০১৪ সালে ঢাকায় ৫৮ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের সর্বনিম্ন রান ১০৫। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ৯৯।

৮. এশিয়া কাপে বাংলাদেশ একবারই ভারতকে হারিয়েছে। ২০১২ এশিয়া কাপে ২৮৯ রান তাড়া করে জয় পায় বাংলাদেশ।

৯. রানের হিসেবে সবথেকে বড় জয়টা ভারতের দখলে। ২৭৭ রানে জয়ের রেকর্ড আছে ভারতের। উইকেটের হিসেবেও সবথেকে বড় জয় ভারতের। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচবার ৯ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে ভারত।

১০. সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি বীরন্দ্রর শেবাগের দখলে। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৭৫ রান করেছিলেন শেবাগ।

১১. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ৩টি।

১২. সবথেকে বেশি ডিসমিসাল করেছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ২৯টি ডিসমিসাল রয়েছে ধোনির নামের পাশে।

১৩. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০টি ম্যাচ খেলে ধোনি ও তামিমের থেকে এগিয়ে আছেন মুশফিক। ধোনি ১৯টি ও তামিম ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন।

১৪. সৌরভ গাঙ্গুলি সর্বোচ্চ ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

১৫. মাত্র ৪.৪ ওভারে ৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফিগার স্টুয়ার্ট বিনির দখলে।

১৬. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ক্যাচ নাসির হোসেনের। ৭টি ক্যাচ নিয়েছেন নাসির।

১৭. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি। ডানহাতি এ পেসার পেয়েছেন ২২ উইকেট।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে