যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসির’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানেই তিনি এ আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, আসলে এখন পর্যন্ত এখানে আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। আমি একজন শরণার্থী। ভিসা শেষ হলে আমি যেন থাকতে পারি, সেজন্য এখানকার কর্তৃপক্ষকে হয়ত সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করব। এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছি, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম উপস্থিত ছিলেন।
সিনহা দাবি করেন, তিনি লন্ডনের হাউস অব কমনস, জেনেভা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নড়তে পারছেন না।
২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
এর এক বছরের মাথায় তিনি বিদেশে বসে বই লিখেছেন যা নিয়ে বাংলাদেশের মত প্রবাসে বাংলাদেশিদের মধ্যে কড়া আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। বইতে সিনহা লিখেছেন, ২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেওয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে।
সিনহা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে প্যাটারসন সিটিতে বসবাস করছেন। মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার আত্মীয়দের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশভিত্তিক কোনো মিডিয়ার সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে যে বাড়িতে তিনি থাকছেন, তার মালিকানা তার ভাইয়ের নামে হলেও অর্থের উৎস নিয়ে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক।