রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনে হয়েছে বিএনপির জনসমর্থন এখন তলানিতে।
কাদের বলেন, চট্টগ্রামে নির্বাচনী যাত্রায় রাস্তায় রাস্তায় আওয়ামী লীগ এর চেয়ে বড় সমাবেশ করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে এই মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
একই দিন দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয় বিএনপির সমাবেশ। এতে রাজধানী ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসেন।
সমাবেশে উপস্থিতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এলোমেলো দল বিএনপি হাকডাক দিয়ে মহাসমাবেশ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আষাঢ়ের তর্জন গর্জনেই সার। কক্সবাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় রাস্তায় যে ৮টি সমাবেশ আমরা করেছি এর একটির ধারে কাছেও তাদের কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশ নেই। তাদের এই সমাবেশের উপস্থিতি হতাশাজনক। এই উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই।
সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারির কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, এই যে জাতীয় ঐক্য, হাতাহাতি-মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া জাতীয় ঐক্যের সূচনা। এখানেই স্পষ্ট কেমন তাদের ঐক্য।
সমাবেশে তফসিলের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিস্কার বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের কোন পরিবর্তন, সংযোজনের সুযোগ নেই।
দাবি আদায়ে ৩ ও ৪ অক্টোবর বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, তাদের সক্ষমতার সীমারেখা আজকেই তো দেখলাম। নিজেরা নিজেরা মারামারি, যতবার মফস্বলে গেছে ততবারই মারামারি। সমাবেশ কল করলেই নিজেরা নিজেরা মারামারি।
আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলনের নামে ২০১৪ সালের মত নাশকতা, বোমা হামলা এবং সেই ভয়াবহ দৃশ্যপটের অবতারণা করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রশাসন যা যা করা দরকার সব করবে। সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।