অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিএনপি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে না এলে দল হিসেবে বিএনপি’র অস্তিত্বই থাকবে না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই।
অর্থমন্ত্রী আজ সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানে দেশে যে ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে, এর চেয়ে উত্তম নির্বাচন ব্যবস্থা সম্ভবপর নয় বলে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের দাবির মুখে ২০০৮ সাল থেকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হয়। এখন নির্বাচনে জালজালিয়াতির কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র মহাসচিব ফখরুল সাহেবের কথায় নমনীয় সুর রয়েছে। তিনি প্রতিদিন একই কথা বলছেন- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। ফখরুল সাহেব এসব দাবি করতেই পারেন। তবে এটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আর হবে না।
এরআগে সভায় অর্থমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়ন কার্মকান্ডের খোঁজখবর নেন এবং চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন।
সিলেট অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের তাগিদ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুত সরবরাহের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেটে চাহিদা মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। এরপরও যদি গ্রাহকরা কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন, এর দায়ভার বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা নেবেন।
বিগত ১০ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন কোন অভাব নেই। অর্থনৈতিক জাগরণ ও উত্থান সর্বত্র লক্ষ্যণীয়। গ্রাম ও শহরের মধ্যে এখন কোন তফাৎ নেই।
সরকারের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা ভাল ছিলো বলে এতসব উন্নয়ন হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক বাজেট ৭ গুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, দেশ থেকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে মানুষের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যানিটেশনে সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রেষ্ট হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ২২ শতাংশ গরিব মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। এখন দেশে গবির মানুষ তেমন নেই, তবে অস্বচ্ছল লোক আছে। মাত্র ৯শতাংশ অতি গরিব মানুষ রয়েছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে এর হার ৫ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নূমেরী জামানের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিম বক্তব্য রাখেন।
রাজনীতি