এবার চাকরি প্রত্যাশীদের আরও একটি দাবি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েচছ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আবেদনের মধ্যে কোটা বাতিলের সুপারিশের পর এবার নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মেনন বলেন, তরুণরা যেন চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পায়, সেজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হবে। সরকারে ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টা আগেই আমি বলছি। এখন এই দুটি (কোটা ও প্রবেশের বয়স সীমা) নিয়েই সরকার কাজ করছে।
সোমবার রাজধানীর সমাজসেবা অধিদপ্তরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মেনন।
বর্তমান বিধান অনুযায়ী ৩০ বছর পর্যযন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য আবেদন করা যায়। ২০১১ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর ঢোকার বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
এই বয়স সীমা ৩৫ করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্দোলনে আছে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় সংসদে একাধিকবার এই বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করার সুপারিশ করে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান মত ও পথকে বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি দীর্ঘদিন ধরে বিবেচনাধীন ছিল। বিস্তারিত আলোচনা শেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছি আমরা।
এই সুপারিশ পাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে।
এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এবং সংসদ, সংসদীয় কমিটি, জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে।
অবসরে যাওয়ার বয়সও বাড়ানোর পক্ষে জানিয়ে মেনন বলেন, মাত্র ৫৭ বা ৫৯ বছর বয়সে একজন মানুষ অবসরে গিয়ে আর অন্য কাজ করতে পারবে না। তাই অবসরের বয়স আরও বাড়ানো উচিত।