সোমবারের ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এদিন জিততেই হতো। আর গুরুত্বপূর্ণ এই খেলায় বোলারদের দারুণ বোলিং এবং প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও শামিম হোসেনের ফিফটিতে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেটি পেরিয়ে গেছে ১৬ বল বাকি থাকতে।
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা ম্যাচে অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় ছাড়া বাংলাদেশ দলের বাকি ১০ জনেরই যুব ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল। আজও অভিষেক হয়েছে দুজনের- রকিবুল হাসান ও অভিষেক দাসের। এদিন টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
৩০ রানে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত অভিষেক দাস। ১১ রান করা মহাসিন খানকে শরিফুল ইসলামের কাচে পরিণত করেন তিনি।
এরপর সাইম আইয়ুব ও অধিনায়ক রোহাইল নাজির ৪৩ রানের একটা জুটি গড়েছিলেন। ৭৩ ও ৭৪ রানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। তিন বলের মধ্যে ২টি উইকেটই নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
একটা পর্যায়ে ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়াকার আহমেদ ও জুনাইদ খান। ৫২ রানের এ জুটি ভাঙতেই ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ৫ উইকেটে ১৮৪ থেকে ১৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়, ৪৫.২ ওভারে।
ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওয়াকার। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কার মার। সাইম ৪৯, জুনাইদ ২৪ ও নাজির করেন ২৩ রান।
৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার রিশাদ। শরিফুল ২০ রানে ২টি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, অভিষেক ও রকিবুল নেন একটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রানেই তানজিদ হাসানের (০) উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারের মধ্যে আরেক ওপেনার সাজিদ হোসেন (২১) ও অধিনায়ক হৃদয়ের (১০) বিদায়ে স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ৪২।
সেখান থেকে দলকে টেনে নেন নাবিল ও শামিম। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। নাবিল ৯৩ বলে ৪ চারে ৫৮ করে ফিরলে ভাঙে ৯৭ রানের বড় এই জুটি।
শামিম ১০৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন। জয় থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন আকবর আলী। ৩১ বলে ২ চারে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিষেক।
২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা। সমান ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমান ২ পয়েন্ট। হংকং এখনো কোনো পয়েন্ট পায়নি।
একই মাঠে মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) গ্রুপের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের আরেক মাঠ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনাল।
###