জাতীয় সংসদের সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হলেও ১১টি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তবে সেই সম্মতিতে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নেই।
সোমবার রাষ্ট্রপতি আইনগুলোতে সম্মতি দেয়ায় এগুলো কার্যকর হলো।বিলগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল, ২০১৮; বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৮; বস্ত্র বিল, ২০১৮; সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৮; যৌতুক নিরোধ বিল, ২০১৮; সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) বিল, ২০১৮; জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি বিল, ২০১৮; হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০১৮; বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন বিল, ২০১৮; কৃষি বিপণন বিল, ২০১৮; এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৮।
সংসদের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, সংসদে কোনো আইন পাস হলে তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠায় সংসদ। আইনগুলোর অনেক কপি ব্রডশিটে ছাপানো হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটি অধিবেশনের শেষে পাস হওয়ায় এখনও ওই বিলসহ অন্যান্য ৭টি বিলের কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলেই সেগুলো রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির খসড়া তৈরির সময়ই এর বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করে আসছিলেন সাংবাদিকরা। এটি সংসদে পাস হওয়ার তা তাতে রাষ্ট্রপতিকে স্বাক্ষর না করার আহ্বানও জানায় বিভিন্ন মহল।
সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এই বিল পাসের বিরোধিতা করে কর্মসূচিতও দিয়েছিল। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অনুরোধে সেসব কর্মসূচি স্থগিত করে গত রোববার তার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সেই সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আইনের যে ৯টি ধারায় আপত্তি এগুলোর বিষয়ে বিষয়ে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। এরপর আবার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।
২২তম অধিবেশনে পাস হয়েছে অথচ রাষ্ট্রপতি এখনও স্বাক্ষর করেননি সেগুলো হলো, সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীন কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এর সনদ মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান (কওমি মাদরাসা) বিল-২০১৮, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৮, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল-২০১৮, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরি শর্তাবলি) বিল ২০১৮, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট বিল-২০১৮ পাস হয়।