২০১৫ সালে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার পর ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরান গত জুলাই মাসে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে।
বুধবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচার আদালত ইরানের পক্ষে সেই মামলার রায় দিয়েছে।
তেহরানের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, ‘মানবিক’ পণ্য যেমন- খাদ্য এবং ওষুধের রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়া হোক।
যুক্তরাষ্ট্র আদালতে বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুর ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনো এখতিয়ার নেই।
নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত রায় দিতে পারে কিন্তু রায় মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঝামেলা হলে আন্তর্জাতিক আদালত তা মীমাংসা করে। তবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশ এর আগে এই আদালতের রায় লঙ্ঘন করেছিল।
বুধবার দেয়া রায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের প্রধান বিচারক আব্দুলকাউই ইউসুফ বলেন, ‘আদালত মনে করে মানবিক পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত কোনো বাধা অবশ্যই অপসারণ করা উচিত এবং মুক্তভাবে রপ্তানি করতে ইরানকে অনুমতি দেয়া উচিত।’