বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৯ কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বরিশাল সিটির ৯ কেন্দ্রে আগামী ১৩ অক্টোবর পুনরায় ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
এই কেন্দ্রগুলো হলো- ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলেকান্দা ফারিয়া কমিউনিটি সেন্টার (পুরুষ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আগুরপুর রোডের সরকারী মহিলা কলেজ (মহিলা) ও সদর রোডের সিটি কলেজ (পুরুষ), ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিএন্ডবি রোডের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (পুরুষ) ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (মহিলা), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাথা আরএম সাগরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপতলী হাউজিং শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পুরুষ) , ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ৮টি কেন্দ্রের ফল বাতিল করে পুনরায় ওইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আদেশে স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে পুনরায় ভোট গ্রহনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি এখনও।
৩০ জুলাই ভোট গ্রহণের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত বরিশাল সিটি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানতে পারছেন না ভোটাররা। কে হচ্ছেন সংশ্লিস্ট ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর আর কে হচ্ছেন সিটি মেয়র এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই নগরবাসীর।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন ১৭টি কেন্দ্রের অনিয়ম তদন্ত করলেও শুধুমাত্র ৯টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিষয়টি প্রহসন হিসেবে দেখছেন বিরোধী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রে ভোট হয়। ওইদিন ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে সকাল ১১টার মধ্যে একমাত্র সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী ছাড়া অপর পাঁচ প্রার্থী একযোগে নির্বাচন বর্জন করে পুনরায় ভোট গ্রহনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।
শুধু মেয়র পদে নয়, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদেও ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অনিয়মের অভিযোগে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কেন্দ্রে অনিয়ম পাওয়ায় তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন ওইদিন সন্ধ্যায় ১৫টি কেন্দ্রের ফল ঘোষনা স্থগিত করে।রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অর্ধ শতাধিক কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পরবর্তীতে দুই দফায় ওইসব অভিযোগ তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
তবে দ্বিতীয় দফা কমিশনের অনুমতি ছাড়া তদন্ত হওয়ায় সেগুলো আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। এ কারনে প্রথম দফা তদন্তে আটটি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ওইসব কেন্দ্রের ফল বাতিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন পুনরায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।