প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলার এজাহার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতের দুদকের জেনারেল রেকর্ডিং (জিআর) শাখা থেকে দুদকের সচিব বরাবর এ এজাহার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
মামলার এজাহারে তিনি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের হওয়ার পর তা ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতের শাহবাগ থানার জেনারেল রেকর্ডিং (জিআর) শাখায় পাঠানো হয়। মামলাটি দুর্নীতির অভিযোগের হওয়ায় গত সোমবার বিকেলে দুদক জিআর-এ পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে দুর্নীতির একটি মামলা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট বাতিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ জুন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করেন। এমন পরিস্থিতিতে একটি পত্রিকায় ‘জামিন ছাড়াই বছর পার নাজমুল হুদা ও স্ত্রীর’ শিরোনামে গত ৩০ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে আপিল বিভাগে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার জমাদারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ডেকে নিয়ে যান এবং বলেন, একজন সংসদ সদস্য তাকে নগদ ২ কোটি টাকা দিতে চেয়েছেন যদি একটি মামলায় নাজমুল হুদার সাজা নিশ্চিত করেন। যাতে করে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হন। যদি ২ কোটি টাকা এবং আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার হুদার প্রদত্ত আড়াই কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টির রিলিজ আবেদনের বিপরীতে ব্যাংক গ্যারান্টির ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রদান করেন তবে তিনি ও তার স্ত্রীর মামলাগুলোয় মুক্তির ব্যবস্থা নিবেন। যদি না দেন, তবে ব্যাংক গ্যারান্টিতে উল্লেখিত হাইকোর্টের মামলার পুনঃশুনানি করবেন এবং ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজের পথ বন্ধ করে দেবেন। এই প্রস্তাবে তিনি সম্মত না হওয়ায় রায় পাল্টে দিয়েছেন।