‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের সব জেলা, উপজেলায় ৪ থেকে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ উন্নয়ন মেলা ২০১৮।
মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজীবুর রহমান।
মুখ্যসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে দেশের সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ের এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
নজীবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব নেতারা। তরুণ প্রজন্ম উন্নয়ন মেলায় এসে যেন নিজেদেরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে সে আয়োজন থাকছে। তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতের জন্য একটা নতুন নিয়ে ফিরবে।
সচিব বলেন, মেলায় উদ্ভাবনী কিছু বিষয় থাকবে। শহরের সুবিধা কীভাবে গ্রামে পৌঁছাবে সেটা তরুণ প্রজন্ম উপলব্ধি করতে পারবে এই মেলায়। এই মেলায় ডেল্টা প্ল্যানটা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হবে।
মুখ্যসচিব বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব একটা বিষয়। আমাদের উন্নয়ন নেতৃত্ব থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগে জনগণের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা এ মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।
নজীবুর বলেন, ঢাকার জেলা প্রশাসন শেরেবাংলা নগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮ আয়োজন করেছে। এ মেলায় স্টল থাকবে ৩৩০টি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ মেলায় অংশগ্রহণ করবে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।
নজীবুর রহমান বলেন, জাতীয় উন্নয়ন মেলার তিন দিনে তিনটি সেমিনারের আয়োজন থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে। চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশবাসী দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার গৃহীত নানামুখী কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। সেই সাথে বিভিন্ন দপ্তর থেকে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে পাবেন কাঙ্ক্ষিত সেবা। এ সময় উন্নয়ন মেলায় নতুন পুরনো প্রজন্মের সম্মিলন ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ মেলায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে নানা কর্মসূচি থাকবে। উন্নয়নের নেতৃত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর নানা প্রদর্শনী হবে। এ মেলায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকদের আসার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, তথ্য সচিব এম এ মালেক ও ইআরডি সচিব প্রমুখ।