বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দল। টস হেরে পাকিস্তান প্রথম ব্যাট করতে নামে।
কার্টেল ওভারে পাকিস্তান ১৪ ওভার ব্যাট করতে পারে। নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের মেয়েরা ৮৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাত্র ৩০ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান জয় পেয়েছে ৫৮ রানে। বাংলাদেশের হয়ে কেউ দুঅংকের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৯ রান করেন রুমানা আহমেদ।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আয়শা রহমান আউট হয়ে যান ১ রান করে। পরের ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শামীমা সুলতানা। দলীয় রান সেই ৩।
১৩ রানের মাথায় নিগার সুলতানা আউট হলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। একই রানে ফারজানা হক ও লতা মন্ডল ফিরে গেলে ঘোর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সালমাবাহিনী। ১৩ রানেই নেই ৫ উইকেট!
এই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি টাইগ্রেসরা। ১৬ রানের মাথায় সানজিদা ইসলাম ও ২০ রানে ফাহিমা খাতুন ফিরে গেলে অল্পরানে অলআউট হওয়াটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। দলীয় ২৩ রানেই অষ্টম ও নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩০ রানের মাথায় রুমানা আহমেদ আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংসের যবনিকাপাত ঘটে।
বল হাতে পাকিস্তানের আনাম আমিন ৩টি উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আইমান আনওয়ের, নাশরা সান্ধু ও নিদা দার। একটি উইকেট নিয়েছেন সানা মির।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনিনি। রুমানা আহমেদ সর্বোচ্চ ৯ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান করেন নিগার সুলতানা। তিন রান করেন ফাহিমা খাতুন। শামীমা সুলতানা, ফারজানা হক, নাহিদা আক্তার ও সানজিদা ইসলাম প্রত্যেকে করেন দুটি করে রান। এক রান করেন আয়শা রহমান। লতা মন্ডল, জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংসে জাভেরিয়া খান সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। ১৮ রান করেন নাহিদা খান। ১০টি করে রান আসে মুনিবা আলী ও আলিয়া রিয়াজের ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের পাঁচ উইকেটের দুটি নিয়েছেন বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জাহানারা আলম ও লতা মন্ডল।
শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। শেষ দুটি ম্যাচ জিতে এখনো সিরিজ জয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।