৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যরা শাহবাগ অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে তারা শাহবাগে অবরোধ শুরু করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা। সেখানে ১০/১২ জনের একটি দল ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তায় বসে আছেন। তারা ফুল দিয়ে লিখে রেখেছেন ‘৩০’।
বুধবার রাতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
এদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যদের শাহবাগ থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বুধবার রাত পৌনে ১১টায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী শাহবাগে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের শাহবাগ থেকে সরে গিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় শাহবাগে অবরোধের কারণে জন ও যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে স্থান ত্যাগ করেননি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সদস্যরা।
সংগঠনটির সভাপতি মেহেদি হাসান বলেন, দাবি পরিষ্কার। ১৯৭২ সালের জাতির পিতা যে কোটার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার যথাযথ বাস্তবায়ন ৭২-এর সংবিধানের আলোকে করতে হবে। এক কেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সকল অঞ্চলের মানুষ যেন সমানভাবে দেশে চাকরির সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে কোটা প্রবর্তিত হয়। সে কোটার আলোকেই চাকরি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে রাস্তায় নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে।