দেশের টেলিভিশন মিডিয়ার শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম- ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনাল অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) ২০১৬ সালের শেষের দিকে আন্দোলনে নেমেছিল। ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’-এই স্লোগান নিয়ে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল সংগঠনটি।
পাঁচ দফার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল- দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলায় ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়াল বা অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। এরপর বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত উঠে এসেছে। তবে টেলিভিশন মিডিয়ার কলাকুশলীদের বড় অংশের দাবি ছিল বিদেশি সিরিয়াল বন্ধের পক্ষে। টেলিভিশন অঙ্গনের ইতিহাসে এমন আন্দোলনের নজির ইতিপূর্বে আর দেখাও যায়নি।
কিন্তু ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় এফটিপিও। সেই সময় এ বিষয়ে এফটিপিওর নেতৃবৃন্দ জানিয়েছিলেন, আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে। তবে তারা কেউ-ই পিছু হটেননি।
সংগঠনটির আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বলেছিলেন, বিটিভির মহাপরিচালককে নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমি ও গাজী রাকায়েত আছি। আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে ক্যাবিনেটে সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে- আরো কিছুদিন সময় দেয়ার কথা। আমরাও সেটা দিয়েছি। কারণ এখানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার রয়েছে। যা আসলেই একটু সময়সাপেক্ষ। আমরাও সে অপেক্ষায় আছি। প্রত্যাশা করছি, আমাদের দাবিগুলোর প্রতি উপযুক্ত সম্মান দেখানো হবে।
তারপর প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করেই যাচ্ছে। এছাড়া আরো নতুন বিদেশি সিরিয়াল প্রচার শুরুর কথাও শোনা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল। তারপর আমরা একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। প্রতিবেদনটি প্রায় দুই বছর ধরে আটকে আছে। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই আমরা তাগাদা দিচ্ছি কিন্তু কিছু হচ্ছে না। এখন আমরা একটি মুভমেন্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।