সরকার খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য সংকটে রাখতে চায় : রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য সংকটে রাখতে চায় বলেই তাকে চিকিৎসা বঞ্চিত করে রেখেছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বিএনপি নেত্রীকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। তার বাম হাত-পা, হাতের আঙ্গুল নড়াচড়া করতে কষ্ট হচ্ছে। ফিজিওথেরাপিও একরকম বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফিজিওথেরাপিস্ট ব্যবস্থা করা হয়নি।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে গভীর স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে রাখাটাই যেন সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই জন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র কব্জা করে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়াকে তার পছন্দানুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

বিএনপির নাশকতার ছক আকছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র চায় না, আওয়ামী লীগ চায় আনুগত্যতন্ত্র। সেজন্য আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর একনিষ্ঠ অনুগত পুলিশ দেশজুড়ে গ্রেপ্তার আর মামলার জাল বিছিয়ে বিরোধী কন্ঠস্বর নীরব রাখতে চাচ্ছে।

‘আওয়ামী লীগের ভোট নাকি ৪২ শতাংশ, আর বিএনপির নাকি ৩০ শতাংশ’ বলে সরকারের উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এসব উদ্ভট পরিসংখ্যান এইচ টি ইমামের নিজস্ব নাকি তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টার তা জাতির জানার আগ্রহ আছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে আক্রমণাত্মক হতে হবে বলেছেন, যা শুধু নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী নয়, বরং আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী নেতা-কর্মীদেরকে সন্ত্রাসী হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে উস্কানি দেওয়ার শামিল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে