জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপি-জামায়াত দক্ষিণপন্থী জোটকে হালালের চেষ্টা করছে এবং গণতন্ত্র রক্ষার আড়ালে প্রশস্ত করা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তি আগমনের পথ-এমন মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে উন্নয়ন ও সমতা প্রতিষ্ঠার শক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে। নির্বাচিত করতে হবে দুর্নীতি আর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী শক্তিকে। ওয়ার্কার্স পার্টি ও ১৪ দল এই রাজনীতিরই প্রতিনিধিত্ব করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওয়ার্কার্স পার্টির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরোধীতা করা। কিন্তু সব সময় যারা জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ভোটের অধিকারকে যেমন রক্ষা করবে না, তেমনি ভাতের অধিকারকেও নয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে জনসভায় রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, স্কুলের মাঠ দখল করে হাট বসানো, শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা আদায়, এমপিও এনে দেয়ার নামে টাকা আদায় এ সবই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। জনগণ তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলছে। ওয়ার্কার্স পার্টি এসবের বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রাম করছে। আগামী নির্বাচনেও করবে।
জনসভায় অন্যান্যনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, শেখ হাফিজুর রহমান এমপি, কমরেড অনিল বিশ্বাস, জাকির হোসেন হবি, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান ভিটু, গাজী আব্দুল হামিদ, অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দীন, ইসরাইল হক, বৈকণ্ঠ বিহারী রায়, ইউনুচ তালুকদার, কমরেড বিপুল বিশ্বাস ও মুস্তাফিজুর রহামান লাল প্রমুখ।