‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে অভিযান চালানো চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের ‘চৌধুরী ম্যানশন’ থেকে ২ লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে লাশগুলো বের করে আনা হয়। তবে র্যাব আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতদের বিষয়ে কোনো কিছুই জানায়নি।
লাশের সঙ্গে বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যও বের করে আনা হয়। সেগুলো ওই বাড়ির সামনে রেখে র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিম নিষ্ক্রিয় করছে।
র্যাবার জানায়, অভিযান শেষে বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে অভিযানের বিষয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ির ভেতরে ৫ জঙ্গির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। সকালে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরণের পর মনে হয় না তাদের কেউ আর বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, তবে একতলা বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে। ঢাকা থেকে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল টিম সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জোরারগঞ্জে পৌঁছেছে। তারা বাড়ির ভেতরে তল্লাশি করবে।
এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপার্শ্বের চৌধুরী ম্যানশন ঘিরে রাখে র্যাব। এরপর ভোরে অভিযান চালানো হয়।
ভোর চারটার দিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বাড়ির ভেতরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়।
রাতেই বাড়ির মালিক মাজহার চৌধুরী এবং কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।
বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুই ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নেন। তারা চট্টগ্রামের একটি রড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে, জঙ্গি আস্তার খবর পেয়ে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরাগঞ্জের বাড়ির অদূরে উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন। তবে তাদের বাড়ির কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না র্যাব।