প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ প্রবেশ করল রাখাইনে, চলছে সরেজমিন পরিদর্শন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো রাখাইনে প্রবেশে সক্ষম হয়েছে। রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রায় ১ বছর পর গত সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সরকারের অনুমতি মেলে।

সীমিত পরিসরে প্রবেশাধিকার পায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউএনসিআর ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএনডিপি।

universel cardiac hospital

বিরল এ সুযোগে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের ২৩টি গ্রাম সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রাথমিক মূল্যায়ন জরিপ করে প্রতিনিধি দল।

প্রাথমিক মূল্যায়ন শেষে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনের গণহত্যাপীড়িত মংডু জেলা এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

এদিকে রাখাইনে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ইইউ। সংস্থাটির বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান সিসিলিয়া মালমস্ট্রোম এ কথা জানিয়েছেন।

গত মাসের কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রাথমিক মূল্যায়ন চালায় জাতিসংঘ। এতে উঠে এসেছে, গ্রামগুলোর অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা বিভিন্ন বিরূপ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে।

অনেকেই ভয় ও নিরাপত্তার অভাবে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। বৌদ্ধ অধিবাসীদের ব্যাপারে বেড়েছে অবিশ্বাস। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মুখপত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক এক বিবৃতিতে এসব বিষয় তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ বলে জানিয়েছে মিয়ানমার প্রতিনিধি। তবে সরেজমিন পরিদর্শনের প্রাথমিক মূল্যায়নে এসেছে ভিন্ন চিত্র।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও পরিবেশ তৈরি করা হয়নি।

জানা গেছে, মিয়ানমারের এ পরিবেশের মধ্যেই আগামী মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে