দেশ গড়ার কাজে নবীন গ্রাজুয়েটদের নেতৃত্ব দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম সমাবর্তনে গুরুগম্ভীর আলোচনার পাশাপাশি রসিকতায় পরিপূর্ণ বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের জন্য পুরো অনুষ্ঠানটিকেই উপভোগ্য করে তুলেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বক্তব্যের মধ্যে তুমুল হাততালি আর হাসাহাসিতে অবশ্য মাঝে তাকেও কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকতে হয়েছে। বিয়েটা তুলনামূলক অল্প বয়সে করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

সেই হিসাব তুলে ধরে সমাবর্তনে বলেন, আমার বিয়ের বয়স এক কোটি ৭০ লক্ষ ২৯২ হাজার সেকেন্ড! বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখতে ভারতীয় নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন আমি মনে করেছিলাম সে বঙ্গভবনেও আসবে এবং আসাটাই ছিল স্বাভাবিক।

universel cardiac hospital

কিশোরগঞ্জে জনপ্রিয় প্রবাদ ‘গবিরের বউ সবার ভাউস (ভাবি)’- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এর সঙ্গে তুলনা করেন বর্তমান রাজনীতির। চাইলে যে কেউ যেকোন সময়ে এই রাজনীতিতে চলে আসে, সেটা পছন্দ নয় তার। আর বলেন, রাজনীতি এখন গরিবের ভাউসের মতো হয়ে গেছে। যে কেউ চাইলেই রাজনীতিতে আসতে পারছে। কিন্তু অন্য পেশায় কেউ চাইলেই যেতে পারে না।

৫০ তম সমাবর্তনের মতো গতকাল শনিবারও রাষ্ট্রপতি অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন নির্বাচনের তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, এই নির্বাচন হলে এইসব লোক জীবনের ৬৫, ৬৭, ৬৯ বছরে দলে ঢুকতে পারবে না। দেশ গড়ার কাজে নবীন গ্রাজুয়েটদের নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অতীতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সকল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার দায়িত্ব অনেকাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করে গেছে।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন, যা ঢাবির ইতিহাসে সর্বাধিক। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১ জনকে পিএইচডি এবং ২৭ জনকে এম ফিল ডিগ্রি দেয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের ভেন্যু ছাড়াও সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজে আলাদা দুটি ভেন্যু ছিল। তারা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সেখানে বসে সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরেছেন। এবার ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা)মুহাম্মদ সামাদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এনামউজ্জামান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে