হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা পেয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
এর আগে এ মামলায় সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করেন আদালত। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বড়ানো হল। এর আগে এ মামলায় গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর মেয়াদ শেষ হলে প্রথম দফায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় ২৬ জুলাই, তৃতীয় দফায় ৩১ জুলাই, চতুর্থ দফায় ১৩ আগস্ট, পঞ্চম দফায় ৩ অক্টোবর ও ষষ্ঠ দফায় ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর পর থেকে তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
সর্বশেষ তাকে চিকিৎসার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউয়ের ৬১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।