বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘টিটলি’। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০১ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
এ কারণে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার রাতে এ সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, দক্ষিণ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি আরো পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো জোরদার হয়ে আগামী ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপ, ৩৪ থেকে ৪২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় এবং আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ (১১ অক্টোবর) মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, নিম্নচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের খুলনার যে কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।এখন নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬৯ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপটি বর্তমানে মোংলা সমুদ্রবন্দর হতে ৯০১ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে আগামী ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর উত্তর বঙ্গপোসাগর উত্তাল থাকতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকাজুড়ে ৭৫ থেকে ১৬৫ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, ইউএন ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) প্যানেল নির্ধারিত হিসেবে এই নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে তার নাম হবে ‘টিটলি’। এটি পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নাম। ঝড় যেখানেই উৎপন্ন হোক না কেন ইএসসিএপি-এর পূর্বনির্ধারিত নামগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।