গুজব সন্ত্রাস এখন আন্দোলনের চেয়েও ভয়াবহ এবং সেই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য, দেশে অরাজকতা তৈরি। এ সময় তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমন আর শিষ্টকে পালনের জন্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সরকারকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই আইনটা কেন করা হয়েছে? মনে আছে, গুজব সন্ত্রাসের কথা? ফেসবুকে লাইভ পোস্টে কালো কাপড়ে মুখ পেঁচিয়ে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ অফিসে তাদের রেপ করছে। এসব নাটক সাজিয়েছেন তারা। এমন আরও আছেন চিত্রনায়িকা, পরে তারা গ্রেফতার হয়েছেন।
গুজব সন্ত্রাস এখন আন্দোলনের চেয়েও ভয়াবহ এবং সেই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ডিজিটাল ক্রাইমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি থাকবে না? তাহলে দেশে কি হবে, অরাজকতা। সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে- বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আর একদলীয় শাসন, এটাও আরেকটা অপপ্রচার। আপনারাই বলেন, শালীনতা বলতে এই দলের আর কিছু নেই।
নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্রাব্য অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছেন, এই যে এইচ টি ইমাম সাহেব, এখানে বসা ওনাকে নিয়েও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এসব কথা তারা অহরহ বলছেন।তারপরেও তো পুলিশ তাদের ধরছে না।
সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচিতে নামতে একমত হওয়ার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পানি আর তেলে মেশে না, এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের কোনো ভবিষ্যত নেই।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্ণর আতিউর রহমান, সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির চেয়ারম্যন কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য সচিব আব্দুস ছাত্তার, সদস্য মীর তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মো. ইউসুফ।